গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবার অন্যতম প্রধান রিজন হলো, আন্দোলনকারীরা ক্ষমতায় না বসা। কারণ তারা যেই মোটিভেশন ও টার্গেট নিয়ে আন্দোলন করেছে, সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন একমাত্র তারাই করতে পারবে। সমন্বয়কদের মধ্যে মাহফুজ আলম ফার্স্ট ভুল করেছে, নিজের পার্সোনাল আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা মনে করে। সমন্বয়কদের অধিকাংশই তার মতো লালনবাদী না, এদেশের ছাত্র-জনতাও না।
আর সবচেয়ে বড় ভুল করেছে, উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার সময়। যেসব অযোগ্য লোকেদের উপদেষ্টা বানিয়েছে, এসব এনজিও কর্মীরা কখনও রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম না। রাষ্ট্র সংস্কারের মতো যোগ্যতা তাদের নেই। মাত্র তিনজন ছাত্র সমন্বয়ক উপদেষ্টা হয়েছে। এখানে বাদ পরেছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা এবং পিণাকীর মতো গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেকে। তাদের অংশগ্রহণ বাদ দিয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর কোনো সংস্কার সম্ভব না।
হাসিনার পতন কিন্তু সংবিধানের নিয়ম মেনে সম্ভব হয়নি। ডেমোক্রেসি দিয়েও সম্ভব হয়নি। বরং ছাত্র-জনতা সংবিধানের বাহিরে গিয়ে ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়েছে। তাই যেসব সমন্বয়ক উপদেষ্টা হয়েছে, প্রচলিত আইন মানতে গিয়ে তারাও ভালো কোনো ফলাফল আনতে পারেনি, আমলাতন্ত্রের বেড়াজালে আটকে গেছে। এই পুরো ব্যর্থতার দায় সমন্বয়কদের ওপরেই যাবে।
আমাদের রাষ্ট্রে একটা সিস্টেমেটিক পরিবর্তন দরকার। প্রচলিত ডেমোক্রেটিক রাজনৈতিক দলগুলো সেটা করার যোগ্যতা রাখেনা, ডেমোক্রেসির মাধ্যমে সম্ভবও না। গণঅভ্যুত্থান দিয়ে হবেনা, লাগবে বিপ্লব।
ইসলামি আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটা রাষ্ট্র।
+ There are no comments
Add yours