Qualities of a leader (Da’ee):
– নবী – রাসূলদের প্রেরণ করেছেন স্ব স্ব কওমকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য।
– রিবয়ী ইবনে আমের রাঃ রুস্তমকে গিয়ে এটাই বুঝিয়েছিলেন।
– ইসলামে নেতৃত্ব হলো একটা আদর্শ। দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের জন্য কাজ করে।
– নেতৃত্ব উম্মাহর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
গুণাবলিঃ
ইলমঃ
– একজন মুসলিম নেতার জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো ইলম। ইলম সকল গুণের উৎস ও ভিত্তি।
– ইলম অর্জন শুধু শরয়ী ইলম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটা যে কোন কারিগরি, প্রযুক্তিগত, সামরিক ও অন্যান্য ইলমকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
– ইলম অন্বেষণ করা ফরজ
সহনশীলতাঃ
– নেতার মাঝে মামুরদের ভালোবাসা সৃষ্টি করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম মাক্কী জীবনে ও সাহাবীদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন।
– নেতার ভুল হলে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার মতো সাহসী হওয়া। নেতাকে এটা এনশিওর করতে হবে।
– দলে দলে মানুষ আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সহনশীল হলেই এটা পসিবল। মানুষের দেওয়া দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হবে এবং তাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে।
– শত্রুতাকে ভালোবাসায় রুপান্তরিত করে। ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে, সহনশীল ও ধীরস্থির হলে শত্রুও বন্ধুতে পরিণত হয়।
– উম্মাহর নেতা হবে কিনা ও সাকসেসফুল হবে কিনা এটা তার মাপকাঠি
প্রজ্ঞাঃ
– হিকমাহ বা প্রজ্ঞা হলো ইলম, সহনশীলতা ও ধীরস্থিরতা।
– সম্মানের স্থানে প্রকাশ লাভ করাকে অপছন্দ করা।
– মতামত অবশ্যই দিবে। তবে এটাকে উত্তম রুপে উপস্থাপন করতে হবে। ওভারকনফিডেন্ট হওয়া যাবেনা।
– হিকমাহ হলো যা যেভাবে করা উচিৎ তা সেভাবে সঠিক সময়ে করা।
– প্রতিটা জিনিসকে তার সঠিক মাপে পরিমাপ করার জন্য প্রশিক্ষিত হতে হবে। দূরদৃষ্টি ও উদর হৃদয়ের অধিকারী হতে হবে।
– দূরদৃষ্টি ও হিকমাহর সাথে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডিল করা হয়েছিলো।
– বর্তমানে উম্মাহর নেতাদের মধ্যে এটার সবচেয়ে বেশি অভাব।
দানশীলতাঃ
– দানশীলতা মানে কোনো বিনিময়ের আশা ব্যতিত দিয়ে দেওয়া।
– রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন।
– যে কোনো প্রয়োজন পূরণ করে দেওয়া। চাইলে অবশ্যই সেটা দিয়ে দেওয়া।
– চাওয়ার আগেই দিয়ে দেওয়া।
– সকল নেতৃত্ব পর্যায়ের সাহাবী ও উম্মাহর নেতাদের সকল অর্থ উম্মাহর জন্য খরচ করেছেন।
দৃঢ়তাঃ
– দৃঢ়তা মানে নিজ বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করা ও মজবুতভাবে ধরা।
– স্বীয় মতামত ও সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে, মচকে যাওয়া যাবেনা। একমাত্র ইসলামের জন্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে
– অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের প্রতি কঠোর হওয়া। দ্বিধা-দ্বন্দ বা কোমলতা গ্রহণযোগ্য না।
– উপযুক্ত বিষয়ে অত্যন্ত দৃঢ় হতে হবে। আবু বকর রাঃ এর যাকাত অস্বিকারকারীদের সাথে যুদ্ধ করা ও উসামা রাঃ এর বাহিনী পাঠানো।
– কখনও প্রতারিত হবেনা বা ধোঁকা খাবেনা। এক গর্তে দুবার পা দিবে না।
– উম্মাহর স্বার্থের ক্ষেত্রে কোনো কিছু ভয় করবেনা।
– ভুল হলে স্বিকার করে নেওয়া।
বাগ্মিতাঃ
– জনগণের মস্তিষ্ককে পরিতুষ্ট ও আশ্বস্ত করতে এবং তাদের বিবেককে নাড়া দেওয়ার জন্য এটাই প্রধান মাধ্যম।
– “নিশ্চয় কিছু বক্তৃতা যাদু”
– মূসা আঃ বাগ্মীতার জন্য দোয়া করেছিলেন।
– মানুষ বুঝে না এমন কিছু না বলা।
– আদর্শগত ও রাজনৈতিক এবং সামরিক ও জিহাদী বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়ঃ
– শব্দ চয়ন করবে যত্ন সহকারে।
– যথাসম্ভব বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত করা।
বীরত্বঃ
– অর্থ শক্তি, দুঃসাহসিকতা, যুদ্ধে দৃঢ়চিত্ততা, স্থির চিত্ততা।
– এর জন্য গভীর ঈমান ও দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে।
বীরত্বের ব্যাপারে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবেঃ
– আল্লাহর বিধানের মধ্যে থাকতে হবে।
– ইলমের সীমা দ্বারা তার সীমা নির্ধারিত থাকবে।
– ক্ষমা করাও বীরত্ব।
– রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবগণ রাঃ, সালাফ ও খালাফ সবাই অত্যন্ত সাহসী ও বীর ছিলেন।
পরামর্শঃ
– নেতাদের জন্য কুরআনে মাগফিরাতের দুআ ও পরামর্শ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
– শূরা বা পরামর্শ ইসলামী শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি।
পরামর্শের গুরুত্বঃ
– একক রায়ের ফলে অহংকার, আত্মগর্ব ও অন্যান্য খারাবী থেকে নেতাকে রক্ষা করে।
– মামুরদের ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা করে।
– ভুল ডিসিশনের জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।
– স্বেচ্ছাচারিতা ও জুলুম থেকে রক্ষা করে।
সততাঃ
– একজন নেতাকে অবশ্যই সবসময় সত্য কথা বলতে হবে।
– কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে।
– গোপন-প্রকাশ্য একরকম হতে হবে।
– আল্লাহর সাথে ও বান্দাদের সাথে সৎ থাকতে হবে।
– পরিপূর্ণ ইখলাস থাকতে হবে।
– আমানত রক্ষা করবে। কথা দিয়ে তা রক্ষা করবে।
+ There are no comments
Add yours