ব্যাডমিন্টন খেলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
১. ফুটওয়ার্কঃ দ্রুত মুভ করতে পারতে হবে। পায়ের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে। এটা যতো দ্রুত ও ব্যালেন্সড হবে ততো ভালো খেলতে পারবে। ক্ষিপ্রতা সব খেলাতেই গুরুত্বপূর্ণ।
২. অবজার্ভ করাঃ যে কোন খেলাতেই এটা গুরুত্বপূর্ণ তবে ব্যাডমিন্টনে এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতিটা বিষয় অবজার্ভ করতে হয়। এখানে কয়েকটা বিষয় উল্ল্যেখ করছিঃ
২.১ টীমের খেলোয়াড়ঃ টীম হলে টীমমেটের দুর্বলতা ও স্ট্রং পয়েন্ট বের করতে হবে। এরপর সে অনুযায়ী সামনে-পিছনে অথবা কোট ভাগ করে নিতে খেলতে হবে।
২.২ বিপরীত টীমের খেলোয়াড়ঃ বিপরীত টীমের স্ট্রং ও উইক পয়েন্ট বের করতে হবে। স্পেশালি তারা কোন দিকে গ্যাপ রাখে সেদিকে হিট করতে হবে। বিভিন্ন এ্যাঙ্গেল, কখনো দূরে কখনো কাছে এভাবে বিপরীত টীমকে দৌড়ের ওপর রেখে টায়ার্ড করতে হবে। গ্যাপ খুঁজে বের করা খুব ইমপরটেন্ট।
২.৩ অপরপক্ষের খেলোয়াড় কর্কে হিট করার পর পরই বিপরীত পক্ষের খেলোয়াড়ের চোখ দেখতে হবে। সে কোন দিকে হিট করবে সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে এবং নিজের কোর্টের গ্যাপ ফিলাপ করতে হবে। এরপরই তার ব্যাটের দিকে তাকাতে হবে। ব্যাটের এঙ্গেল দেখে সহজেই বোঝা যাবে তার হিটের পর বলটা কোন দিকে যাবে।
২.৪ খেলার কোর্টের একটা মাপ মাথায় গেথে রাখতে হবে। আমি ম্যাক্সিমাম খেলোয়াড়ের এই ভুলটা দেখি। তাদের হিটে কর্ক সহজেই কোর্টের বাহিরে চলে যায়। একজন ভালো খেলোয়াড়ের হিট খুবই মেপে করতে হয়। এক্সেপশনাল বাদে এটা কখনোই কোর্টের বাহিরে যাবে না।
২.৫ লাইট ও বাতাসের এ্যাঙ্গেল ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। জেনারেলি রাতে হাল্কা বাতাস থাকে, লাইটও চোখে লাগে। তাই উইক সাইডটা এভোয়েড করার ট্রাই করতে হবে। একান্তই বাধ্য হলে দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেভাবে হিটকে মডিফাই করে নিতে হবে।
২.৬ ভালো খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে হবে। তারা কিভাবে হিট করে ও মুভ করে এটা অবজার্ভ করলে ও সে অনুযায়ী প্র্যাকটিস করলে দ্রুত ভালো করা যায়।
২.৭ অত্যধিক প্রেসারে বিপরীত পক্ষের কোর্টে স্পিডে নিচের দিকে ফেলা ফিজিক্যাল স্ট্রেংথ ও হাইটের ওপর ডিপেন্ড করে। আর Dodge দেওয়ার পুরো ব্যাপারটাই কর্কের ওপর কন্ট্রোলড হিটের ওপর ডিপেন্ড করে। তাই এটার জন্য এক্সপেরিয়েন্স ম্যাটার করে।
প্রায় সব খেলাতেই অনেক বেশি মেধা লাগে। এখানে ফিজিক্যাল স্ট্রেংথও গুরুত্বপূর্ণ। তবে মেধা ছাড়া কখনোই সম্ভব না। আর মেধাকে কাজে লাগাতে হবে অবজার্ভ করা ও ডিসিশন মেকিং এর ক্ষেত্রে। ব্যাডমিন্টনে খুব বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়না। এক্সপেরিয়েন্স ও প্র্যাকটিস করতে হবে। খেলার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিটা হিটের কোথায় দুর্বলতা ছিলো এবং প্রতিপক্ষ কেনো পয়েন্ট পেলো, এ দুটো বিষয় একটু চিন্তা করলে পরেরবার পয়েন্ট আটকানো ইজিয়ার হবে।
এতোকিছু অবজার্ভ করব নাকি খেলব? শুরুতে পয়েন্টে পিছনে থাকতে পারেন, একটা দুটো ম্যাচ হারতেও পারেন, কিন্তু এর মাধ্যমে অবশ্যই দ্রুতই একজন ভালো খেলোয়াড় হওয়া সম্ভব ইনশাা’আল্লাহ।
+ There are no comments
Add yours