ইনসাফকারীদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে আর পক্ষপাতিত্বকারীদের সাথে আমাদের বাজে সম্পর্ক থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক”

“মুমিনের ব্যাপারটা কতোই না আশ্চর্যময়। যখন সে আনন্দিত হয় তখন আল্লাহর শুক্রিয়া আদায় করে, এটা তার জন্য কল্যাণকর। আবার যখন সে কষ্ট পায় তখন সবর করে, এটাও তার জন্য কল্যাণকর”

দাওয়াতের ময়দানে কাজ করার সময় অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং সেখানে থেকে আমি একটা বিশাল শিক্ষা পেয়েছি। ওটাই শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম।

মাদঊ (যাকে দাওয়াত দেয়া হয়) এর বিষয়ে সবাই বিভিন্ন অভিযোগ করে। যেমনঃ অমুকের এই প্রবলেমটা আছে যেটা দূর করতে পারলেই সে দ্বীনের পথে চলে আসবে,অমুকের এই বদঅভ্যাস আছে যেটা সমাধান দিতে পারলেই সে দ্বীনের পথে চলে আসবে….।

আর যারা এক সময় মেহনতের সাথী ছিলো উনাদের বিষয়েও ভাইদের কিছু কমন কথা আছে। যেমনঃ অমুকের ইমান দুর্বল হয়ে গেছে, অমুক ভাই এই হারামে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে, অমুক ভাই এখন দুনিয়া দ্বারা আসক্ত হয়ে গেছে, অমুক ভাই তো সবই বোঝে তবুও কাজ করেনা তাকে আর কি বোঝাবো….।

আমি আমার লাইফে এইরকম অসংখ্য কেইস পাইছি এবং অসংখ্য ভাইকে সামনে থেকে দেখেছি। আপাতো দৃষ্টিতে তাদেরকে সেই কমন সমস্যাগুলোই মনে হতো। কিন্তু গভীর পর্যবেক্ষণ ও তাদের কথাগুলো অবজার্ভ করার পর এটা বুঝতে পারছি, আসলে সব ভাইদেরও মূল সমস্যাই হলো আকিদায়। আকিদার গলদের কারণেই সে দ্বীন থেকে দূরে চলে যায়। আকিদার সমস্যার কারণেই সে আপাতো দৃষ্টিতে দ্বীন বুঝে মনে হলেও দ্বীনের জন্য কাজ করতে পারেনা, আকিদার সমস্যার কারণেই অন্তরে দ্বীনকে ধারণ করে তার জন্য কাজ করতে পারেনা।

এরকম প্রশ্ন আসতে পারে, অমুক ভায়ের তো আকিদা ঠিকই ছিলো। তারপরও তো সে দ্বীন থেকে বিচ্যুত হয়েছে।তাহলে এটা কেনো?

– ইসলামের আকিদা চ্যাপ্টারটা এতো বিস্তৃত যে ওই মৌলিক কিছু জায়গায় তার গলদ ছিলো যেই আইডিওলজি চেঞ্জ না হয়েই তার বাকি সব বিষয়ে আকিদা চেঞ্জ হলেও ওই গলদটাই তাকে হেদায়েত থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। অথবা, তার আকিদা এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে পরিবেশ/দুনিয়া বা অন্য কিছুর প্রভাবে। আপনার মাদঊর সাথে কথা বলে কনফার্ম হতে পারেন।

তাহলে গলদ আকিদা নিয়েও কিভাবে মানুষ হেদায়েত পায়?

– আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন একমাত্র সেই হেদায়েত পায়। আর তার আকিদায় গলদ থাকলেও ইনিশিয়ালি কখনো সেটা প্রভাব ফেলেনা বরং আপাতো দৃষ্টিতে তাকে দ্বীনদারই মনে হয়।তবে সময়ের পরিক্রমায় যদি সে তার আকিদা ক্লিয়ার না করে তবে হেদায়েত থেকে ছিটকে পরে যায়। তাই দীর্ঘ সময় ধরে দ্বীনের ওপর ইস্তিকামাত দিয়ে জাজ করা জরুরি।

আরেকটা সমস্যা হয় যখন থিউরিটিক্যালি কেউ আকিদায় বিলিভ করে বাট তার ইম্পলিমেন্টেশানে সে নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনা। এর জন্য প্র্যাকটিক্যাল তাওহিদ,প্র্যাকটিকাল আকিদায় বিলিভ করা ও সামনে থেকে দেখা জরুরি। যারা এই প্র্যাকটিক্যালি সেগুলো দেখেনা বা শেখেনা তারাও হেদায়েত থেকে বঞ্চিত হয়।

আল্লাহ আমাদের সহিহ ও প্র্যাকটিক্যালি আকিদা ক্লিয়ার করার তৌফিক দান করুন

#দাওয়াত_ও_হেদায়েত

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours