বান্দা আল্লাহর প্রতি যেমন ধারণা করে আল্লাহ ঠিক তেমনই তাকে দান করেন।।।

একজন মহিলা সাহাবী একদা রাসূলুল্লাহ সঃ এর কাছে এসে বিবাহের প্রস্তাব দিছিলেন যে, তিনি এমন পুরুষকে বিবাহ করতে চান যিনি সারাবছর সিয়াম ও প্রতিদিন কুরআন খতম করবেন। সারাবছর সিয়াম ও কুরআন খতম তো খুবই কঠিন কাজ। কে করতে পারবে এটা??? এতো উত্তম একজন মহিলা সাহাবী রা. কি তাহলে শেষ পর্যন্ত অবিবাহিতই থেকে যাবেন??? এতো আমল করার জন্য কি কোনো পুরুষই প্রস্তুত নন???

এমন সময় একজন পুরুষ সাহাবী রা. দাঁড়িয়ে বললেন যে উনি এই আমলগুলো করেন তাই তিনি বিবাহ করতে চান। মা শাা আল্লাহ! যথানিয়মে বিবাহ হবার পর স্ত্রী খেয়াল করলেন স্বামী তেমন কুরআন তিলাওয়াতও করেননা আবার সিয়ামও রাখেননা। তো তিনি রাসূলুল্লাহ সঃ এর কাছে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নালীশ করলেন যে তিনি কথা রাখতেছেন না!
তখন পুরুষ সাহাবী কে ডেকে জিগ্যেস করা হলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সঃ তার পবিত্র জবানী দিয়ে বলেছেন যে সূরা ইখলাস পুরো কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। তাই তিনবার তিলাওয়াত করলে আমি পুরো কুরআন খতমের সাওয়াব পাচ্ছি। আর রমাদানের সিয়ামের পর শাওয়াল মাসে যে ছয়টা রোজা রাখবে সে সারাবছরই সিয়াম রাখলো। তাই আমি সারাবছরই রোজা রাখি। তাই আমি প্রতিদিন তিনবার ইখলাস তিলাওয়াতের মাধ্যমে এক খতম কুরআন পড়তেছি আর রমাদানের পর মাত্র ছয়দিন সিয়াম পালন করে মূলতো আমি সারা বছরই সিয়াম পালন করতেছি!!!

সুবহানআল্লাহ! দেখুন ভায়েরা উনাদের রাসূলুল্লাহ সঃ এর কথারর ওপর কতোটা কনফিডেন্স ছিলো। ঠিক তেমনই আমরা সহিহ হাদিস থেকে জুম্মার দিনে সূরা কাহাফের ফজিলত জানি যে, পরবর্তি জুম্মা পর্যন্ত সে হেদায়েত পায়।।।
সুবহানআল্লাহ, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যখন কুফর সেই সময় পুরো এক সপ্তাহের হেদায়েতের গ্যারান্টি পাওয়া সত্যিই মহান পুরষ্কার। আমার কাছে মনে হয় যে এর চেয়ে বড় পুরষ্কার ও ফজিলত আর হতে পারেনা। কেনোনা আমি এর মধ্যে মারা গেলে অন্তত মুমিন অবস্থায় মারা যাবো। আর আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা রাখলে আল্লাহ অবশ্যই আমাকে সাত দিন হেদায়েতের উপর রাখবেন।।। আলহামদু লিল্লাহ, আমি নিজে বহুবার এটারর ওপর আমল করার ফজিলতটা দেখতে পারছি। ভুলে কোনো কারণে এক সপ্তাহ বাদ পড়লে সেটার সাথে অন্য উইকগুলোর তুলনা বুঝতে পেরেছি।
তাই আমরা কেউ না ভুলি ভাই। অবশ্যই সূরা কাহাফ জুম্মার দিন দিলাওয়াত করি







You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours