পৃথিবীতে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, মানুষের সাইকোলজি বুঝতে পারা। মানে আমার সামনে কে কি করতেছে, কেনো করতেছে, তার অন্তরের অবস্থা কি, তার আমি কি কি পরিবর্তন করাতে চাচ্ছি, তার ব্রেইনওয়াশ করা….. এই ব্যাপারগুলো যখন ডিপলি বোঝা যায় তখন সেটা খুবই আনন্দদায়ক হয়। এটা যখনই মনে পরবে তখনই আপনি হাসি আটকে রাখতে পারবেন না এবং এ কারণেই সাইকোলজিস্টদের অনেকে পাগল মনে করে।

যাই হোক, এই ব্যাপারটা মজার হলেও এটা বাস্তবায়ন করাটা খুবই কষ্টের। বেশ কিছু গুণ না থাকলে আসলে ব্যাপারটা তাকে প্রচুর পেইন দিবে। আপাততো তিনটা আলোচনা করতেছিঃ

১. আল্লাহর ওপর সন্তুষ্টি। আল্লাহর ওপর তাকওয়া না থাকলে সে মানুষকে হিংসা করা শুরু করবে। মানুষের ভালো অবস্থান মেনে নেয়া তার জন্য কষ্টকর হবে। মানুষের সাফল্য সে সহ্য করতে পারবেনা। কেনোনা সে মানুষের দুর্বলতাগুলো জানে এবং খুবই স্বাভাবিক যে সে নিজে সেগুলো থেকে কাটিয়ে উঠবে। তাই কমতি থাকার পরও কেউ ভালো কিছু পেয়ে যাচ্ছে এমনটা সহ্য করার জন্য আল্লাহর ওপর সন্তুষ্টির কোনো বিকল্প নেই। সাইকোলজিস্টদের এটা বড় ধরনের সমস্যা। তারা আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট না হওয়ায়, পেশেন্টদের অনেক সময়ই প্রোপার সলিউশন দেয়না। তাই কনসাল্টেশন বা নিজের বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য “তাকওয়া” সম্পন্ন লোককে বাছাই করা জরুরি। সাইকোলজিস্ট খোঁজার ক্ষেত্রেও, স্পেশালি সেই সাইকোলজিস্টদের থেকে আমার পজিশন ভালো থাকলে বা ভালো থাকার সম্ভাবনা থাকলে।

২. কঠোরতা। অন্তর ও বাহ্যিক দুটোতেই তাকে শক্তিশালী ও কঠোর হতে হবে। মানুষকে ট্রেনিং বা শুধরানোর জন্য কঠোরতা অনেক বেশি জরুরি। ‘নাসীহাহ’ বা ‘ভুল সংশোধন’ মানুষ কখনোই ভালোভাবে নিতে পারেনা এবং মনের কিনারায় অবশ্যই তাকে কষ্ট দেয়। তাই ভুল সংশোধন করতে গেলে তাদের সাথে রিলেশন নষ্ট হবে, ভালোবাসার মানুষ কমে যাবে, মানুষ বেশি হিংসা করবে, শত্রু বাড়বে ইত্যাদি। এমতাবস্থায় কঠোর হতে না পারলে জীবনে সে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে যাবে এবং নিজেই সুইসাইড করতে বাধ্য। এই যে পশ্চিমা কান্ট্রিগুলোতে সাইকোলজিস্টদের সুইসাইড রেট বেশি, এটা তার অন্যতম কারণ।

৩. সহ্য ক্ষমতা। মানুষ ভুল করবে কিন্তু সে ছাড়া কেউ বুঝবেনা। সে সবকিছু মানুষকে বোঝাতেও পারবেনা কেনোনা মানুষদের সেই কথাগুলো নেবার মতো যোগ্যতা নেই। সবাইকে সবকিছু বলতেও পারবেনা। ফলে ভুল করা মানুষগুলো তার সামনেই পার পেয়ে যাবে এবং তাকে এটা সহ্য করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবর করতে হবে।

ওপরের তিনটা গুণই অত্যন্ত কঠিন। কেউ বাস্তব জীবনে ফেইস না করলে কখনোই এগুলো রিয়ালাইজ করতে পারবেনা। তবে সবার সাথেই এমনটা ঘটে (ছোট পরিসরে) এবং আমার কথাগুলোর সাথে সবাই একমত পোষণ করবে। মজার ব্যাপার হলো, দিন শেষে সে নিজেও এই ল্যুপের মধ্যেই চলে যাবে। যাই হোক, এই তিনটা গুণ মুমিনরা ব্যতিত কারো পক্ষে পুরোপুরি অর্জন করা পসিবল না। আর এগুলো ডিরেক্ট ঈমানের সাথে কানেক্টেড। তাই সাইকোলজিস্ট মুসলিম হলে এই তিনটা গুণই সে অর্জন করতে বাধ্য। মুসলিমদের এই সেক্টরে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসা উচিৎ

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours