গুনাহতে লিপ্ত থাকাটাই আস্তে আস্তে মানুষকে অভ্যস্থ করে তোলে। তারপর সেটা ছাড়তে পারেনা এবং এটা তার আত্মার বিরুদ্ধে যায়। তাকে পেইন দিতে থাকে এবং এই মেন্টাল পেইন থেকে মানুষ সামহাউ বেরুতে চাই। তাই আস্তে আস্তে অভ্যস্থতার সাথে সাথে এখানে লজিক দেবার ট্রাই করে এবং ইনিশিয়ালী স্কেপটিক থেকে আস্তে আস্তে এগনোস্টিক হয়ে যায়। সবাই সবগুলো ধাপ পেরুবে এমনটা নয়,তার স্টেজের ওপর ডিপেন্ড করে সে কেমন চিন্তা করবে । তবে যাদের পরিবেশটাই থাকে খারাপ তারা প্রথম দিককার স্টেপগুলো পাইনা। যেমনটা কাফিরদের সন্তানরা বা কোনো সেকুলার/নাস্তিকের সন্তানরা পায়না। তাই তাদের ক্ষেত্রে এই লজিক খাটেনা যে সে পাপের কাজটাকে আস্তে আস্তে বৈধতা দেবার জন্য কুফরে লিপ্ত হচ্ছে বরং সে কুফরের ওপরেই জন্ম গ্রহণ করেছে এবং এটাকে সে জন্মসূত্রেই হালাল মনে করে। তার অবস্থানটা একজন অমুসলিম ঘরে জন্ম নেয়া সন্তানের মতোই। তাই এখানে দুটো বিষয় লক্ষণীয়:

১. পরিবেশ। যার ব্যাপারে ইসলাম সবচেয়ে স্ট্রিক্ট এবং এর জন্য হিজরতও ফরজ করা হয়েছে। ইমান আনয়নের পরেই হিজরতকে স্থান দেয়া হয়েছে। (হিজরত তাকেই বলে যা কোনো কুফরের স্থান থেকে ইসলামের ভূমিতে করা হয়)। প্রচলিত যে দাওয়াতী সিস্টেমগুলো আছে সেখানেও এই দিকেই বেশি ফোকাস করা হয়। যেমনঃ চিল্লা,পীরের দরবারে কিছুদিন অবস্থান,মাদ্রাসায় পড়াশুনা ইত্যাদি।

২. কাফিরদের বিশ্বাস। দাওয়াতের মূলকথাই এর জন্য তাওহিদ হয় যা মানুষকে আল্লাহর দাস হিসেবে বিশ্বাস করায়। এরপর তার অন্যান্য বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।

তবে যদি প্রথম স্টেজের মানুষ হয় তো তাদের জন্য দাওয়াতটা হয় “আত্মশুদ্ধি” টাইপের যেটা প্রচলিত তাবলীগসহ অনেক দায়ীই করে থাকেন। আর দ্বিতীয়টার জন্য অমুসলিমদের দাওয়াত অর্থাৎ তাওহীদের দাওয়াত!

যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে তিনটা শর্ত প্রযোজ্য। সেটা সাধারণ কোনো আমল হোক বা দাওয়াত!
১. কাজটা শারীয়াহতে বৈধ হওয়া।
২. কাজটার পদ্ধতি সুন্নাহ পদ্ধতি হওয়া।
৩. নিয়্যাত শুদ্ধ হওয়া।

ইলম সোর্সঃ সম্মানিত আলিম উস্তাদ মুফতি মামুনুর রশীদ হাফি.

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours