দাওয়াতের নববী পদ্ধতিঃ
১. বিষয়বস্তু ঠিক করতে হবে। আমি কোন বিষয়ে দাওয়াত দিবো সেটা জানতে ও বুঝতে হবে।
২. মাদঊর সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। তার যেদিকে ল্যাকিংস সেদিকে দাওয়াত দিতে হবে। তার যেদিকে সমস্যা সেইদিকে দাওয়াত দিতে হবে।
৩. ঘাড় ধরে করানোর সামর্থ্য নেই জন্যই দাওয়াত দিচ্ছি। তাই দাওয়াত আক্রমণাত্মক হবেনা (কখনোই না)। ব্যক্তি আক্রমণ পরিহার করতে হবে। আন্তরিকতার সাথে তার সংশোধনের জন্য দাওয়াত দিতে হবে। নিজের জ্ঞান জাহের করার জন্য নয়। আক্রমণ আসলে উত্তম পন্থায় প্রতিহত করতে হবে।
৪. হয়তো সে দ্বীনকে গ্রহণ করবে নয়তো এটা তার অন্তরে ভয় প্রদান করবে। যদি মানার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিগড়ে যায় তাহলে দ্বাঈর সমস্যা। আর যদি সে তার প্রবলেমের কথাই শুনতে না পারে তাহলে মাদঊরই সমস্যা।
৫. সবরের মাসআলা দাওয়াতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আক্রমণ আসবেই তাই সবর করতে হবে। দ্বাঈর এই গুণ থাকতেই হবে।
৬. কষ্ট দিলে ব্যাথা পাওয়া যাবেনা। যে কষ্ট পাবে সে দাওয়াত দিতে পারবেনা। অনেক চক্রান্ত করা হবে তবে তার জন্য অন্তরে ব্যাথা রাখা যাবেনা। শুধু আল্লাহর জন্য সবর করতে হবে এবং সহ্য করতে হবে।
৭. সময়। যে সময় কথা শোনার জন্য প্রস্তুত, সে সময়ই দাওয়াত দিতে হবে। টাইমিং ঠিক রাখতে হবে সবসময়। হারাম পরিবেশেও দাওয়াত দেয়া যাবেনা।
৮. দাওয়াতের যোগ্যতা মাদঊর আছে নাকি সেটা দেখতে হবে। যদি না থাকে, তাহলে ঐচ্ছিক। দাওয়াত দিলে সওয়াব হবে, নয়তো গুনাহ হবেনা।
এরকমভাবে সবর ও ইয়াক্বীনের সাথে দাওয়াত দিতে পারলে আমি আল্লাহর কাছে সাকসেসফুল দ্বাঈ। যদি মাদঊর যোগ্যতা থাকে তাহলে সে হেদায়েত পাবে নয়তো পাবেনা
+ There are no comments
Add yours