মুসলিম ভাই-বোনদের সাথে ঠাট্টা করার সীমারেখা কতটা? এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত-
.
وَلَا تُمَازِحْهُ
.
‘মুসলিমের ভাইয়ের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করো না'[১]
.
মুফতি তাকি উসমানী [হাফি.] এর ব্যাখ্যায় বলেন,
.
“এর দ্বারা এমন ঠাট্টা বোঝানো হয়েছে, যা অন্যকে আহত করে। শরীআতের সীমারেখার ভেতরে থেকে এমন হাল্কা রসিকতা করা, যা মনে কেবল আনন্দই দান করে, আহত করে না, তাতে কোনো বাধা নেই। তা জায়েয; বরং অন্যকে খুশি করার নিয়ত থাকলে সাওয়াবের কাজ।
.
এক হল রসিকতা, আরেক হল উপহাস ও ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করা। রসিকতা জায়েয, কিন্তু উপহাস করা জায়েয নয়। অর্থাৎ যে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ অন্যের পক্ষে অপ্রীতিকর হয় এবং অন্যের মনে কষ্ট দেয়, তা হারাম ও নাজায়েয। কেউ কেউ অন্যকে এই উদ্দেশ্যে ঘাটায় যে, সে রেগে যাবে এবং তাতে উপস্থিত লোকজন মজা পাবে। এভাবে অন্যকে উত্ত্যক্ত করে আনন্দ লাভ কোনও মতেই জায়েয নয়। হাদিসে একেই নিষেধ করা হয়েছে।
.
রসিকতা এতটুকুই করা যাবে, যা অন্যের পক্ষে সহনীয়। সীমাতিরিক্ত রসিকতা করে অন্যকে হেনস্থা করা ও তাকে বিব্রত করা এক ধরনের রুচিবিকৃতি। মনে রাখতে হবে, এরূপ উপহাস করে দুনিয়ায় হয়ত একটু মজা পাওয়া যাবে, কিন্তু আখিরাতে এর জন্য কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, যেহেতু এর মাধ্যমে আপনি একজন মুসলিমের মনে দুঃখ দিয়েছেন। মুসলিম ভাইয়ের মনে দুঃখ দেওয়া কঠিন গুনাহ।”[২]
.
.
[১) ইমাম তিরমিযি (রাহ.), আস সুনান, হা: ১৯৯৫; সনদ দুর্বল;
২) মুফতি তাকি উসমানী (হাফি.), ইসলাম ও আমাদের জীবন: ৫/৩৬১-৬২]
You May Also Like:
Categories
+ There are no comments
Add yours